শরৎ হচ্ছে আকাশ ও মাটির মিলন। একদিকে নীলাকাশ, আরেকদিকে কচি ফসলের দুরন্তপনা; একদিকে সোনা রোদ, আরেকদিকে সবুজের
কচি মুখ; সঙ্গে আকাশ ও
মৃত্তিকার যে হৃদয়াবেগ, তা আমাদের
হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়। প্রকৃতির সবুজ ছড়িয়ে পড়ে মাঠে-ঘাটে। প্রকৃতি তার ভালোবাসা
দিয়ে আপন করে নিতে চায় সকল মনকে।
শরৎকাল। ভাদ্র-আশ্বিন মাস জুড়ে যার রাজত্ব। প্রকৃতি নেয় নববধূর সাজ। ধরার বুকে এনে দেয় অনাবিল
আনন্দের ঝর্ণা। কাশফুল, বড়ইফুল, দোলনচাঁপা,
বেলি,
শিউলি,
শাপলা,
জারুল,
রঙ্গন,
টগর, রাধাচূড়া,
মধুমঞ্জুরি,
শ্বেতকাঞ্চন,
মল্লিকা,
মাধবী,
কামিনী,
নয়নতারা,
ধুতরা,
কল্কে,
স্থল
পদ্ম, সন্ধ্যামণি,
বোগেনভেলিয়া,
জিঙে,
জয়ন্তীসহ
আরো কত ফুলে বিমোহিত করে রাখে চার দিক! ধরার
বুকে এনে দেয় অনাবিল আনন্দের ঝর্ণা। সবকিছু ছাপিয়ে শরৎকালকে অলঙ্ক্রিত
করে যে ফুলটি সেটি হচ্ছে কাশফুল। নদীর তীরে তীরে কাশফুলের সাদা হাসির প্লাবন,
মাঠে
মাঠে সবুজের মেলা এক কথায় এত সবুজ, এত নীল আর এত
সাদার একত্র সমাবেশ অন্য কোনো ঋতুতে দেখা যায় না বললেই চলে।
কিন্তু অর্থের পিছনে ছুটে চলা শহরবাসীর অন্তর আজ আর শরতের সেই
নিমন্ত্রণ অনুভব করে না। প্রতিবারই শরৎ সাজে অপরূপ সাজে। কিন্তু শহরের যান্ত্রিক জীবনে এর রূপ দেখার
সময় নেই অনেকেরই। এরপরও পাড়াগাঁয়ে পড়া কিছু শহুরে মন নেচে-গেয়ে ছুটে ফেরে কেবল শরতের ওই
কাশবনে...।
Photo
Gallery of KansGrass (কাশফুল):
No comments:
Post a Comment