কোন
কিছু বুঝার আগেই বাবাকে হারিয়েছি। জীবনে বাবার উপস্থিতি বা প্রয়োজন আনুভব করি
কিন্তু পরিমাপ করতে পারিনা। আমার বাবা ও মা ঐ একটি মানুষ ...সে আমার “মা”।
আজ আমার
মা বয়সের ভারে বৃদ্ধ। ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি ও সামর্থ্য কমে আসছে। আমাদের
ফ্যামিলিতে শিশু সদস্য পাঁচজন, অনেক সময় ভাবি মা সহ হচ্ছে ছয়জন। কারন যে মানুষটি
আমাদের সাত ভাই বোনকে মানুষ করেছে, আজ সেই মা ই যেন শিশু হয়ে যাচছে।
আমাদের ফ্যামিলিতে
ভাই বোনদের মধ্যে আমিই সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, তাই আমাকে নিয়েই
বেশী ভাবনা তার, আমি কবে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত হব। একদিন ফোন না করলে ই মা আমাকে
ফোন করে। জানতে চায় শরীর খারাপ করল কিনা! অফিস ঠিকমতো করছি কিনা...ইত্যাদি ইত্যাদি... সারাক্ষণ তার
সন্তানদের নিয়েই ভাবেন, এই ভাবনার যেন কোন শেষ নেই।
জীবনে
প্রতিষ্ঠা লাভের নেশায় দিন রাত ছুটে চলেছি বিরামহীন। পিছনে ফিরে তাকানোর যেন একটু
সময় নেই। যে মানুষটির মাধ্যমে পৃথিবীর আলো দেখলাম, যার হাত ধরে হাঁটতে শিখলাম, চলতে
শিখলাম, শিখলাম ভাল খারাপ ও ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিটা পদক্ষেপে ওপরে ওঠার সিরি হিসাবে কাজ করেছে “মা”... আজ সেই
মা আমার দিনে দিনে খুব অসহায় হইয়া পড়ছে। জীবনের শেষ সময়ে যখন তার পাশে থাকা বড় প্রয়োজন
ঠিক তখন আমরা ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর, যে হাত দুটি আজ মার চলার পথে প্রয়োজন ঠিক
তখন আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের দিকে হাত বাড়িয়ে বসে আছি।
একি
প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা না আমাদের অক্ষমতা?
ক্ষমা
চাওয়ার নৈতিক সাহস ও যে আমাদের নেই।
No comments:
Post a Comment