নাগা মরিচ, মরিচের একটি প্রজাতি, যা প্রচণ্ড
ঝালের কারণে সমধিক পরিচিত। স্থানীয়ভাবে বোম্বাই মরিচ নামে পরিচিত।
নাগা মরিচ হলো এশিয়ার বাংলাদেশ এবং নিকটবর্তী ভারতের
উত্তর-পূর্বাংশের আসাম রাজ্যের হাইব্রিড বা মিশ্র প্রজাতি। এটি ভারতের আসাম,
নাগাল্যান্ড
ও মণিপুরে, এবং বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে জন্মায়।
মরিচটির নাম গিনেজ বুকে উঠেছে আগেই। এখন বলা হচ্ছে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা
পেলে মরিচ উৎপাদন করে আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট মোকাবেলা করাও সম্ভব! এক গ্রাম
মরিচের দাম যদি হয় তিন লাখ টাকা, তাহলে সেটা
অসম্ভব কিছু নয়।

নাগা মরিচ হলো এশিয়ার বাংলাদেশ এবং নিকটবর্তী ভারতের
উত্তর-পূর্বাংশের আসাম রাজ্যের হাইব্রিড বা মিশ্র প্রজাতি। এটি ভারতের আসাম,
নাগাল্যান্ড
ও মণিপুরে, এবং বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে জন্মায়।
মরিচটির নাম গিনেজ বুকে উঠেছে আগেই। এখন বলা হচ্ছে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা
পেলে মরিচ উৎপাদন করে আড়াই হাজার কোটি টাকার বাজেট মোকাবেলা করাও সম্ভব! এক গ্রাম
মরিচের দাম যদি হয় তিন লাখ টাকা, তাহলে সেটা
অসম্ভব কিছু নয়।

প্রাকৃতিক ক্যাপসাইসিন যৌগ থেকে এন্টি ক্যান্সার ওষুধ, ব্যথা নির্মূল,
ওজন
ঠিক রাখা প্রভৃতির ওষুধ তৈরি হয়। যে কারণে ক্যাপসাইসিন খুবই মূল্যবান একটি মরিচ।
এর এক গ্রামের দাম তিন লাখ টাকার অধিক।

তিনি আরও জানান, খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৮০০ বছর আগে দক্ষিণ
আমেরিকায় প্রথম মরিচের চাষ শুরু হয়। সেখানে ইনকা নামক জাতিগোষ্ঠী মরিচকে দারুণ দাম
দিতো। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানেও এটিকে ব্যবহার করতো। এমনকি এক সময় এরা
এই মরিচকে মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহার করতো। কলম্বাস পঞ্চদশ শতাব্দীতে মরিচ ইউরোপে
নিয়ে আসেন। তারপর পর্তুগিজরা এটাকে ভারত ও আফ্রিকায় তাদের বিভিন্ন বাণিজ্যিকীকরণ
করেন। এরপর জনপ্রিয়তা পাওয়ায় অধিকাংশ দেশেই ব্যাপকহারে মরিচ চাষ শুরু হয়।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা পোড়াটে হলুদ রঙের ‘ভুত জলোকিয়া’
(বাংলায়
যা ভুত মরিচ হিসেবে পরিচিত) দেশটির সেনা শহর তেজপুরের ডিফেন্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি
২০০০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঝালের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে বসলে ২০০৫ সালে

তেজপুরের ডিফেন্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির পরিচালক আরবী শ্রীবাস্তদবা
টাইম ম্যাগাজিনকে জানান, ভুত জলোকিয়া (Vhut jolokia) ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খুবই জনপ্রিয় হওয়ায় মরিচের রাজা বলা হয় এটাকে। বছরের একটি
নির্দিষ্ট সময়ে এই মরিচকে ঘিরে উৎসবও হয়। দাঙ্গার সময় এটা ছড়িয়ে দিলে এক কিলোমিটার অঞ্চলে আর
কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার আগে সৈন্যদের একটি খাইয়ে দিলে দ্বিগুণ
তেজে যুদ্ধ করবে।


মসলা গবেষণা ইন্সটিটিউট বগুড়ার পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড.
ভাগ্য রানী বণিক জানান, সম্প্রতি ক্যাপসাইসিন প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য
একটি মেশিন তারা পেয়েছেন। তবে প্রশিক্ষিত বৈজ্ঞানিক ছাড়া এসব স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে
কাজ করা খুবই কঠিন। সরকারের যত্নশীল, গুরুত্বপূর্ণ নজরদারি থাকলে
ক্যাপসাইসিন দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবে।
Sourceঃ http://www.akash24.com/2884
No comments:
Post a Comment